বিভিন্ন সুবিধা

নীতি আর কাজের অভ্যাসে নির্দেশ দানের মাধ্যমে গবেষণা পরিবর্তন আনতে পারে। গবেষক হিসাবে আমাদের কাজ সামান্য কোনো সংকীর্ণ প্রায়োগিক ধরনের সংস্করণ নিয়ে ব্যস্ত না থাকা যা কিনা কেবলমাত্র প্ল্যাটফর্ম কী বস্তু আর সেগুলি কীভাবে কাজ করে শুধু সে কথাই জানতে চায়। এই ধরনের গবেষণাগুলি শেষপর্যন্ত কাদের উপকৃত করে? এটা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায় যে প্ল্যাটফর্ম কর্মীরা কখনোই মজুরি ও কাজের পরিস্থিতির দিক থেকে তলানিতে পৌঁছে যাবার জন্য প্রতিযোগিতায় ছুটে চলেন না। আমাদের এমন ধরনের গবেষণা দরকার যেটা সংকীর্ণ প্রায়োগিক সমস্যার ঊর্ধ্বে উঠতে পারে। সমবায়িক ডিজিটাল অর্থনীতি নিয়ে গবেষণা হল এক নতুন ক্ষেত্র যেখানে জরুরি, কঠোর পরিশ্রমসাধ্য, তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক জ্ঞান অর্জনের বহু সুযোগ আছে।

সমবায়িক ডিজিটাল অর্থনীতি এক নতুন গবেষণার ক্ষেত্র যেখানে ইন্টারডিসিপ্লিনারি (জ্ঞানের একাধিক শাখা সম্পর্কিত) চেতনা থেকে জ্ঞান অর্জন করে। সমবায়িক ডিজিটাল অর্থনীতি হল অ্যানথ্রপলজি বা নৃতত্ত্ববিদ্যা, রাজনীতি শাস্ত্র, সমাজবিদ্যা, ইতিহাস, আর অর্থনীতি শাস্ত্র সংক্রান্ত বিষয় যে ক্ষেত্রগুলি নিয়ে খুব অল্পমাত্রায় গবেষণা করা হয়েছে। উদীয়মান এই ক্ষেত্রটি স্পষ্টতই কর্মীদের আর সমবায় সংক্রান্ত গবেষণার সাথে জড়িত। বিজনেস স্কুলগুলিতে, অর্থসংস্থান, এন্টারপ্রেনারশিপ, আর সংগঠন বিষয়ক গবেষণাগুলিতে এই গবেষণা বিশেষ ভাবে প্রাসঙ্গিক। ল (আইন) স্কুলগুলিতে, প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রগুলি হল প্রশাসন ও কর্পোরেট কাঠামো।

বহু দেশে, একটা ক্রমবর্ধমান সংখ্যক Ph.D. শিক্ষার্থীরা তাদের ডক্টরেট করার থিসিস প্রজেক্ট হিসাবে প্ল্যাটফর্ম সমবায়িকতা (কো-অপারেটিভবাদ)-কে বেছে নিচ্ছে, যেখানে তারা এমন সব প্রশ্ন নিয়ে অনুসন্ধান করছেন যার উত্তর পাওয়া যায়নি যেমন স্কেল বা পরিমাণগত সমস্যা, বিতরিত প্রশাসনিক ব্যবস্থা, অর্থসংস্থান, ব্যবস্থাপনা, এবং উদীয়মান প্ল্যাটফর্ম সমবায় (কো-অপারেটিভ)গুলির মধ্যে বাজারজাতকরণ। তারা মানবজাতির বিশেষত্ব সংক্রান্ত কেস স্টাডি, প্রত্যক্ষ ব্যবসা সংক্রান্ত গবেষণা, এবং বিভিন্ন দেশের মধ্যে তুলনামূলক অধ্যয়ন।

আমাদের এমন ধরনের গবেষণা দরকার যেটা থেকে ভবিষ্যতের কোনো সমবায়িক কাজ করার কেমন ধরনের হতে পারে তার উপযোগী নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রণয়ন, গঠন, ও অনুসন্ধান করা যেতে পারে। আর আমাদের এমন ধরনের গবেষণা দরকার যেগুলি এমন কোনো নতুন সূচনা বিন্দু থেকে কাজ করতে ভয় পায় না যার বক্তব্য হল আজকালকার ডিজিটাল অর্থনীতি কর্মীদের প্রতি অন্যায় আচরণ করে, তবে অন্যান্য আন্দোলনের সাথে মিলিত হলে আমরা এক তুলনামূলক ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারব। সিলিকন ভ্যালি থেকে বেরিয়ে আসা সাম্প্রতিকতম অ্যাপগুলি যাচাই করার বদলে, আমাদের বরং স্বনির্ভরতা নিয়ে হওয়া গবেষণামূলক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গণতান্ত্রিক এন্টারপ্রাইজ দেখতে যাবার জন্য ডেট্রয়েট, বার্সিলোনা, আহমেদাবাদ, জুরিখ, আর বেন্ডিগো শহরগুলি দেখতে যাওয়া উচিত যেখান থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে যে কোন ধরনের কাজ করলে সেটা সবচেয়ে ভালো কাজে লাগতে পারে।

Who Else Benefits from Platform Co-ops